Showing posts with label Chemistry chapter 11. Show all posts
Showing posts with label Chemistry chapter 11. Show all posts

জীবাশ্ম


সাধারন জ্ঞান


সমগোত্রীয় শ্রেনী

  • অ্যালকেন⇨CnH2n+2 (এন) (C-C)
  • অ্যালকিন⇨CnH2n (ইন) (C=C)
  • অ্যালকাইন⇨CnH2n-2 (আইন) (C≡C)
  • অ্যালকোহল⇨CnH2n+1OH(নল) (C-C)
  • অ্যালডিহাইড⇨CnH2n+1CHO (ন্যাল)(C-C)
  • কার্বক্সিলিক এসিড⇨CnH2n+1COOH (নয়িক এসিড)(C-C)

নামকরণের ক্ষেত্রে

  • কার্বন সংখ্যা ১ হলে মিথ
  • কার্বন সংখ্যা ২ হলে ইথ
  • কার্বন সংখ্যা ৩ হলে প্রোপ
  • কার্বন সংখ্যা ৪ হলে বিউট
  • কার্বন সংখ্যা ৫ হলে পেন্ট
  • কার্বন সংখ্যা ৬ হলে হেক্স
  • কার্বন সংখ্যা ৭ হলে হেপ্ট
  • কার্বন সংখ্যা ৮ হলে অক্ট
  • কার্বন সংখ্যা ৯ হলে নন
  • কার্বন সংখ্যা ১০ হলে ডেক
  • অ্যালকেন:

অ্যালকেন এ কার্বন কার্বন এক-বন্দন (C-C) থাকে এবং অ্যালকেন এর নামকরণের ক্ষেত্রে শেষে এন যোগ হয়।

  • অ্যালকিন:

অ্যালকিন এ কার্বন কার্বন দ্বী-বন্দন (C=C) থাকে। এক্ষেত্রে যেকোনো একটা দ্বী-বন্দন থাকলেই হয়।

অ্যালকিন এর নামকরণ:

  • অ্যালকিন এর নামকরণের ক্ষেত্রে প্রথমে কার্বন সংখ্যা অনুযায়ী নাম বসাতে হবে।
  • পরে কার্বন কার্বন দ্বী-বন্দন যত নাম্বারে থাকবে তা কার্বন সংখ্যা অনুযায়ী নামের পর হাইফেন (-) দিয়ে লিখে আরেকটা হাইফেন দিয়ে ইন যোগ করতে হবে।যেই দিক থেকে নম্বর কম হবে সেইটা লিখতে হবে।প্রথমে বা শেষে দ্বী-বন্দন থাকলে শুধু কার্বন সংখ্যা অনুযায়ী নামের পর ইন যোগ করলেও সমস্যা নেই (C=C-C-C-C-C(হেক্সইন))
    যেমনঃ
    • C-C-C=C-C-C(হেক্স-3-ইন)।
    • C-C-C-C=C-C(হেক্স-2-ইন)।
  • অ্যালকাইন:

অ্যালকাইন এ কার্বন কার্বন ত্রী-বন্দন (C≡C) থাকে। এক্ষেত্রে যেকোনো একটা ত্রী-বন্দন থাকলেই হয়।

অ্যালকাইন এর নামকরণ:

  • অ্যালকাইন এর নামকরণের ক্ষেত্রে প্রথমে কার্বন সংখ্যা অনুযায়ী নাম বসাতে হবে।
  • পরে কার্বন কার্বন ত্রী-বন্দন যত নাম্বারে থাকবে তা কার্বন সংখ্যা অনুযায়ী নামের পর হাইফেন (-) দিয়ে লিখে আরেকটা হাইফেন দিয়ে আইন যোগ করতে হবে।যেই দিক থেকে নম্বর কম হবে সেইটা লিখতে হবে।প্রথমে বা শেষে ত্রী-বন্দন থাকলে শুধু কার্বন সংখ্যা অনুযায়ী নামের পর আইন যোগ করলেও সমস্যা নেই (C≡C-C-C-C-C(হেক্সআইন))
    যেমনঃ
    • C-C-C=C-C-C(হেক্স-3-আইন)।
    • C-C-C-C=C-C(হেক্স-2-আইন)।
  • অ্যালকোহল:

অ্যালকোহল এ কার্বন কার্বন এক-বন্দন (C-C) থাকে। অধাতুর পরে OH থাকলে অ্যালকোহল বলা হয়।

অ্যালকোহল এর নামকরণ:

  • অ্যালকোহল এর নামকরণের ক্ষেত্রে প্রথমে কার্বন সংখ্যা অনুযায়ী নাম বসাতে হবে এবং নাম গুলোর সাথে আ-কার যোগ করতে হবে ও তারসাথে নল যোগ করতে হবে।
  • যেমনঃ
    • CH3OH(মিথানল)।
    • CH3-CH2-CH2-CH2-CH2-CH2-OH(হেক্সানল)।
  • অ্যালডিহাইড:

অ্যালডিহাইড এ কার্বন কার্বন এক-বন্দন (C-C) থাকে।

অ্যালডিহাইড এর নামকরণ:

  • অ্যালডিহাইড এর নামকরণের ক্ষেত্রে প্রথমে যৌগে যতগুলো কার্বন থাকবে তা অনুযায়ী নাম বসাতে হবে এবং নাম গুলোর সাথে আ-কার যোগ করতে হবে ও তারসাথে ন্যাল যোগ করতে হবে।
  • যেমনঃ
    • C5H11CHO(ইথান্যাল)।
  • কার্বক্সিলিক এসিড:

কার্বক্সিলিক এসিড এ কার্বন কার্বন এক-বন্দন (C-C) থাকে।

কার্বক্সিলিক এসিড এর নামকরণ:

  • কার্বক্সিলিক এসিড এর নামকরণের ক্ষেত্রে প্রথমে যৌগে যতগুলো কার্বন থাকবে তা অনুযায়ী নাম বসাতে হবে এবং নাম গুলোর সাথে আ-কার যোগ করতে হবে ও তারসাথে নয়িক এসিড যোগ করতে হবে।
  • যেমনঃ
    • CH3COOH(ইথানয়িক এসিড)।

প্রয়োজনীয় সংজ্ঞাবলি

  • প্রতিস্থাপকঃ যারা হাইড্রোজেনকে সরানোর ক্ষমতা রাখে তাদের প্রতিস্থাপক বলে।
  • যেমনঃ
    • F⇨ফ্লোরো
    • Cl⇨ক্লোরো
    • Br⇨ব্রোমো
    • I⇨আয়োডো
  • জৈব যৌগঃ যে যৌগে কার্বন এবং হাইড্রোজেন থাকে আকে জৈব যৌগ বলে।
  • যেমনঃ
    • CH4
  • অজৈব যৌগঃ যে যৌগে কার্বন এবং হাইড্রোজেন থাকে না আকে অজৈব যৌগ বলে।
  • যেমনঃ
    • H2SO4
  • অ্যালকাইল হ্যালাইডঃ অ্যালকেন থেকে একতি H অপসারণ করলে অ্যালকাইল উৎপন্ন হয় । অ্যালকাইল এর সাথে হ্যালোজেন যুক্ত হয়ে অ্যালকাইল হ্যালাইড তৈরি হয়। অ্যালকেন এর নামের শেষের এন (ane) বাদ দিয়ে আইল (yl) যোগ করে অ্যালকাইল মূলকের নাম করণ করা হয়।

হাইড্রোকার্বনঃ

#কার্বন ও হাইড্রোজেন সম্বনয়ে গঠিত যৌগকে হাইড্রোকার্বন বলে। হাইড্রোকার্বন ২ প্রকারঃ

  • অ্যালিফেটিক: সাধারনত চর্বিজাতীয়। অ্যালিফেটিক যৌগ আবার দুই ধরনের।
    যথাঃ
    • মুক্তশিকল হাইড্রোকার্বন।
    • বদ্ধশিকল হাইড্রোকার্বন।

    • মুক্তশিকলঃ শিকলের দুই প্রান্তের কার্বন দুইটি মুক্ত অবস্থায় থাকে। মুক্তশিকল আবার দুই ধরনের।
      যথাঃ
      • সম্পৃক্ত (কার্বন কার্বন একক বন্ধন থাকে );
      • অসম্পৃক্ত (কার্বন কার্বন দ্বী-বন্দন ও ত্রী-বন্দন থাক। মাঝে মধ্যে একক বন্ধন ও থাকে)।
    • বদ্ধশিকলঃ কার্বন শিকলের দুই প্রান্তের কার্বন পরস্পর যুক্ত হয়ে একটি বলয় বা চক্র গঠন করে। এসব যৌগের নামকরণের ক্ষেত্রে আগে সাইক্লো লিখতে হয়।
      • সম্পৃক্ত;
      • অসম্পৃক্ত।

  • অ্যারোমেটিকঃ অ্যারোমেটিক শব্দের অর্থ সুগন্ধ। যেমন বেনজিন (C6H6) সাধারনত 5,6,7 সদ্যসের সমতলীয় যৌগ। এগুলোতে পর্যায়ক্রমে একটি একক বন্ধন এবং তারপর একটি দ্বী-বন্দন থাকে।

    বেনজিন

প্রতিস্থাপকযুক্ত যৌগের নামকরণ

  • কার্বন শিকলের যত নাম্বর এ প্রতিস্থাপক থাকবে তত নম্বর এর পর (-) দিয়ে প্রতিস্থাপকের নাম বসে এবং এর পর সমগোত্রীয় যৌগের নামকরণের সাধারন নিয়মে নাম করণ করতে হবে
  • একটি যৌগে একের অধিক প্রতিস্থাপক থাকলে নিচের তালিকার উপরের দিকের প্রতিস্থাপকগুলোর নাম আগে লিখতে হবে। প্রথম প্রতিস্থাপকের নামের পর (-) দিয়ে ২য় প্রতিস্থাপকের নাম একইভাবে লিখতে হবে।

    প্রতিস্থাপকের ক্রম প্রতিস্থাপকের নাম
    Br ব্রোমো
    Cl ক্লোরো
    F ফ্লোরো
    I আয়োডো

  • একটি যৌগে একই প্রতিস্থাপক একাধিকবার থাকলে ২ বার থাকলে ডাই ৩ বার থাকলে ট্রাই বসবে এবং একই প্রতিস্থাপক যত যত নম্বর বন্ধনে থাকবে তাদেরকে (,) দিয়ে তারপর (-) দিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে নামকরণ করতে হবে।

ডিকার্বক্সিলেশন বিক্রিয়া

# ডিকার্বক্সিলেশন বিক্রিয়ায় জৈব এসিড থেকে কার্বন হ্রাস পায়।এই বিক্রিয়া ঘটানোর জন্য প্রথমে জৈব এসিডের সাথে NaOH এর বিক্রিয়া ঘটিয়ে জৈব এসিডের সোডিয়াম লবন তৈরি করা হয়।

তারপর জৈব এসিডের সোডিয়াম লবনকে আবার NaOH এর সাথে CaO প্রভাবক এর উপস্থিতি বিক্রিয়া করলে অ্যালকেন ও Na2CO3 উৎপন্ন হয়। এই বিক্রিয়াটি ই হচ্ছে ডিকার্বক্সিলেশন বিক্রিয়া।

CH3COOH + NaOH ⇨ CH3COONa + H2O

CH3COONa + NaOH(CaO) ⇨CH4 + Na2CO3

জৈব যৌগের রূপান্তর

  • ইথেন ⇨ মিথেন:
    • উচ্চ চাপ ও তাপে বায়ুর অক্সিজেন দ্বারা ইথেন কে জারিত করলে ইথানয়িক এসিড তৈরি হয়।
      CH3-CH3 + 3[O]⇨ CH 3-COOH + H2O
    • ইথানয়িক এসিডকে আবার NaOH এর সাথে বিক্রিয়া করে CH3-COONa লবন তৈরি হয়।
      CH3-COOH + NaOH ⇨ CH3-COONa + H2O
    • প্রাপ্ত লবন আবার CaO এর উপস্থিতিতে NaOH এর সাথে বিক্রিয়া করে মিথেন তৈরি হয়।
      CH3-COONa + NaOH(CaO) ⇨ CH4 + Na2CO3(CaO)
  • মিথেন ⇨ ইথেন
    • মৃদু সূর্যালোকের উপস্থিতিতে মিথেন Br2 এর সাথে বিক্রিয়া করে মিথেন ব্রোমাইড তৈরি করে।
      CH4 + Br2 (hʋ) ⇨ CH3Br + HBr
    • শুষ্ক ইথারের সাথে দুই অনু CH3Br ধাতব সোডিয়ামের সাথে উর্টজ বিক্রিয়া করে ইথেন তৈরি হয়।
      2CH3Br + 2Na ⇨ C2H6 + 2 NaBr
  • কার্বনডাই অক্সাইড ⇨ মিথেনঃ
    • CO2 + 4H2(Ni) (T=180-200) ⇨ CH4 + 2 H2O
  • ইথাইল ক্লোরাইড ⇨ ইথিনঃ
    • ইথাইল ক্লোরাইড এর সাথে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের জলীয় দ্রবণকে উত্তপ্ত করলে ইথিন, সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং পানি উৎপন্ন হয়। CH3-CH2Cl + NaOH ⇨ CH2=CH2 + NaCl + H₂O
  • ইথানল ⇨ ইথিনঃ
    • ইথানলের সাথে অতিরিক্ত গাঢ় সালফিউরিক এসিডকে উত্তপ্ত করলে ইথিন এবং পানি উৎপন্ন হয়। CH3-CH2-OH + (H2SO4) ⇨ CH2=CH2 + H2O
  • ইথিন ⇨ ইথানলঃ
    • ইথিন ফসফরিক এসিডের উপস্থিতিতে ইথিন 300° তাপমাত্রাইয় এবং 60 atm চাপে জলিয় বাষ্পের সাথে বিক্রিয়া করে ইথানল উৎপন্ন করে। CH2=CH2 + H2O (H3PO4)⇨ CH3-CH2-OH

  • অ্যালকাইন ⇨ অ্যালকিন ⇨ অ্যালকাইল হ্যালাইড ⇨ অ্যালকোহল ⇨ অ্যালডিহাইড ⇨ জৈব এসিড

    • অ্যালকাইন⇨ অ্যালকিনঃ CH≡CH + H2(Ni) (T=180-200) ⇨ CH2=CH2
    • অ্যালকিন ⇨ অ্যালকেনঃ CH2=CH2 + H2(Ni) (T=180-200) ⇨ CH3-CH3
    • অ্যালকেন ⇨ অ্যালকাইল হ্যালাইডঃ CH3-CH3 + Br2 ⇨ CH3CH2Br + HBr
    • অ্যালকাইল হ্যালাইড ⇨ অ্যালকোহলঃ CH3CH2Br + NaOH ⇨ CH3CH2OH + NaBr
    • অ্যালকোহল ⇨ অ্যালডিহাইডঃ CH3CH2OH + [O] (K2Cr2O7 + H2SO4) ⇨ CH3CHO + H2O
    • অ্যালডিহাইড ⇨ জৈব এসিডঃ CH3CHO + [O] (K2Cr2O7 + H2SO4) ⇨ CH3COOH

অ্যালকেনের ধর্ম

  • রাসায়নিক ধর্মঃ সাধারণ অবস্থায় এসিড, ক্ষারক, জারক বা বিজারকের সাথে বিক্রিয়া করে না। তারপরও এরা কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
  • ভৌত ধর্মঃ 1 থেকে 4 কার্বন সংখ্যার সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বনের স্ফুটনাঙ্ক কক্ষ তাপমাত্রার নিচে তাই এগুলো গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে। 5 থেকে 15 কার্বন সংখ্যার সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বনের স্ফুটনাঙ্ক কক্ষ তাপমাত্রার উপরে বলে এগুলো তরল অবস্থায় থাকে। 5 কার্বনবিশিষ্ট সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন পেন্টেনের স্ফুটনাঙ্ক 36.1°C। সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বনের কার্বন সংখ্যা 16 থেকে বেশি হলে এগুলো কঠিন প্রকৃতির হয়।

অসম্পৃক্ত যৌগ প্রমান

  • সকল অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন Br এর সাথে বিক্রিয়া করে ব্রোমিনের লাল বর্ণ অপসারণ করে। CH2=CH2 + Br2 ⇨ C2H4Br2

SSC Chemistry Chapter 11: জীবাশ্ম